এইমাত্র
  • সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
  • দিল্লিতে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হবে মেসির ফুসফুুসে!
  • গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  • নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ
  • বিএনপির প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • পিএসএলের কারণে পিছোতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • ৩০ বছর পর রোগীর পেট থেকে বের হলো লাইটার
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বিয়ে ভেঙে দেয়ায় আক্রোশে বন্ধুকে খুন, গ্রেফতার ৪

    মো. ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম
    মো. ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম

    বিয়ে ভেঙে দেয়ায় আক্রোশে বন্ধুকে খুন, গ্রেফতার ৪

    মো. ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বোনের নামে মিথ্যা বদনাম রটানো ও বন্ধুর বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার আক্রোশে গাজা সেবন করার কথা বলে ডেকে এনে মোর্শেদ ইসলাম (৩৩) নামে এক যুবকের হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম।

    মৃত মোর্শেদুল কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়ার একরামুল হকের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি মাষ্টারপাড়া এলাকার মামুনুর রশিদের ছেলে বাদশা আলমগীর (৩১), বাসোপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম ইসলাম(১৯), নুরুজ্জামান ওরফে পেলকু মেম্বারের ছেলে সেলিম মিয়া(২৭) ও ময়নুকুড়ি এলাকার মামুদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩০)।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, ‘হত্যার শিকার মোর্শেদুল ও আসামীরা গাজাসেবী ছিল। তারা একসাথে বন্ধুর মত গাজা সেবন করতো। তাদের মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। হত্যার শিকার মোর্শেদুল আসামী ইব্রাহিমের বোনের পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে বেড়ায় এবং আসামী সেলিমের ঠিক হয়ে থাকা বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া অন্যান্য আসামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় মোর্শেদুলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে আসামীরা। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ আগস্ট রাতে আসামী ইব্রাহিম গাজা কিনে এনেছে এবং তা সেবন করার জন্য ফোন দিয়ে মোর্শেদুলকে ডেকে নিয়ে আসে। পরিকল্পনা মোতাবেক মোর্শেদুল গাজা সেবনের স্থানে নিয়ে এসে মোর্শেদুল উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করে তাকে হত্যা করে আসামীরা এবং পড়নের কাপড় পরিধানকৃত কাপড় দিয়ে বস্তার মত করে বেধে ওই এলাকার কারবলার ডাঙ্গা সংলগ্ন ধাইজান নদী খননের বালুর স্তুপে পুতে রাখে।’

    পুলিশ সুপার আরও বলেন,‘মৃত্যুর তিনদিন পর অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষন করে নিহত ব্যক্তি মোর্শেদুল বলে ধারনা করে পরিবার। এরপর থেকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ধরতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে বাদশা আলমগীর ও ২৪ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিমকে, ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ী সেলিম ও আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইব্রাহিম, সেলিম ও আনারুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…