বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। একই দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।
পঙ্কজ নাথের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শাম্মী আহমেদ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে পঙ্কজ নাথের মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন। এতে পঙ্কজের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘তিনি মনোনয়নপত্র জমাদানের আগে তাঁর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন করেছেন।
আপিলে বলা হয়, পঙ্কজ নাথ ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহন কম্পানির চেয়ারম্যান। তাঁর স্ত্রী ওই পরিবহনের পরিচালক। কম্পানির চার হাজার শেয়ারের মালিক স্বামী-স্ত্রী।
পঙ্কজ নাথ সেখান থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাতা নেন। কিন্তু হলফনামায় সে তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
এ ছাড়াও পঙ্কজের নিজ নামে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সোনামুখী এলাকায় দোতলা বাড়ি রয়েছে। হোল্ডিং নম্বর ও ট্যাক্স রসিদও তাঁর নামে। কিন্তু সম্পদ বিবরণীতে তার উল্লেখ নেই।
পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে এর আগে ৩ ডিসেম্বর বিহঙ্গ পরিবহনের মালিকানা গোপনের অভিযোগ তুলে ধরেন শাম্মী আহমেদ। এমনকি তিনি পঙ্কজ নাথের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। একই দিন পঙ্কজ নাথ শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি তুলে ধরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
দুজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন ৪ ডিসেম্বর তাঁদের ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং পঙ্কজ নাথের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। পঙ্কজ নাথ এ আসনে দুইবারের সংসদ সদস্য।