দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজের ঝাঁঝ নিয়ন্ত্রণে আনতে সোনাগাজীর বক্তারমুন্সি ও তাকিয়া বাজার মনিটরিং করেন মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল ও বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় সারা দেশের ন্যায় সোনাগাজীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। দেশী পেঁয়াজ ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০-২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্থানীয় বাজার মনিটরিং করেন চেয়ারম্যান বাদল ও বাবুল। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান সকল ব্যবসায়িদেরকে পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দাম কমানোর অনুরোধ করে।
বক্তারমুন্সি বাজারে চেয়ারম্যান বাদল আগের দিন ঘোষনা দিয়ে মনিটরিংয়ে আসেন। যে সকল ব্যবসায়ী পূর্ব ক্রয়কৃত পেঁয়াজ চড়া দামে বিক্রি করছে তাদের পূর্ব নির্ধারিত দাম অর্থাৎ ১২৫ টাকা ধরে বিক্রি করতে নির্দেশ দেন। কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী চেয়ারম্যানের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান খোলা রেখে পালিয়ে যায়। এসময় চেয়ারম্যান বাদল নিজে সেই দোকানে বসে ১২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। একই দৃশ্য দেখা গেছে বগাদানা ইউনিয়নের তাকিয়া বাজারে।
চেয়ারম্যানদের এমন কার্যক্রমে কিছুটা স্বস্তি পেলো সাধারন ক্রেতারা। তাদের এমন কার্যক্রমে পেঁয়াজ ক্রেতারা বাজারের প্রতিটি দোকানে ভীড় জমায়। কেউ ৫ কেজি, কেউ ২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায় । এ খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে পেঁয়াজ ক্রেতারা বাজারে ভীড় করতে দেখা যায়। একই সাথে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ পূর্বক বিক্রি ও অন্যান্য কাঁচা বাজার সঠিক দামে বিক্রি নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যানরা।
এমআর