এইমাত্র
  • হিট অফিসারের পরামর্শে রাজধানীতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা
  • রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
  • ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২
  • বরগুনায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার
  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু, পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সুখবর নেই, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
  • ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • গা'জায় শরণার্থী শিবিরে ই'রাইলি হামলায় নিহত ১৫
  • কোটি টাকার মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী আটক
  • টেকনাফে অপহরণ চক্রের আরও দুই সন্ত্রাসী আটক
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    অর্থ-বাণিজ্য

    ভারত থেকে পেঁয়াজ-চিনি আর কবে আসবে?

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম

    ভারত থেকে পেঁয়াজ-চিনি আর কবে আসবে?

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম

    পবিত্র রমজানের ১২ দিন পার হলেও ভারত থেকে আমদানির খবর নেই পেঁয়াজ ও চিনির। সে কারণে দেশের বাজার কোনোভাবেই স্থিতিশীল থাকছে না। সময়মত না আসার সুযোগে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে এদেশের সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খাদ্যদ্রব্যের আমদানি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে।

    গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

    জানা যায়, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে আর স্বস্তির নি:শ্বাসে পার করবেন মাসটি।

    সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি জরুরি খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ বাড়াতে সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। এ সময় আহসানুল ইসলাম তাকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

    তখন জানানো হয়, রমজানের আগেই পেঁয়াজ ও চিনি দেশে ঢুকবে। এ ঘোষণার প্রায় মাস পার হতে চললেও নানান প্রতিবন্ধকতায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ, চিনি ভারত থেকে দেশে আসেনি। ভারত সরকার অন্য দেশ থেকে পেয়াজ কিনে বাংলাদেশে রফতানি করবে। সেই লক্ষে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে রফতানির সময়সীমা এগিয়ে এনেছেন।

    এদিকে, আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্য আমদানি স্বাভাবিক হলে রমজানে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে।

    বেনাপোলের আমদানিকারকরা জানান, বছরখানেক ধরে ভারত থেকে চাল, চিনি, পেঁয়াজ ও গম আমদানি বন্ধের কারণে ও সেইসঙ্গে বাজার সিন্ডিকেটের ফলে কোনোভাবেই এসব পণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকছে না। মাঝে-মধ্যে আমদানির খবরে দাম কমে এলেও পরে আবার তা বেড়ে যায়।

    বেনাপোলের আমদানিকারক সাজেদুর রহমান বলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত তার কিছুই আসেনি। জরুরি পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলে বাজারে দাম কমে আসতো।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ভারতের নিষেধাজ্ঞা নিত্যপণ্য আমদানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

    বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, দেশের বাইরে পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একের পর এক শর্ত অস্থির করে তুলেছে আমদানি নির্ভর বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার। এতে দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির বাজারে আরো বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

    তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বার্ষিক কোটা চুক্তিতে ভারতের কাছে গম ৪৫ লাখ টন, চাল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৭ লাখ টন, চিনি ১৫ লাখ টন ও আদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার টন ও ১০ হাজার টন রসুন রফতানির অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ও ভুটানকে কোটা সুবিধায় পণ্য আমদানিতে সুযোগ দিয়েছে ভারত। ভারতের সঙ্গে নিত্যপণ্যের কোটা চুক্তির বাস্তবায়ন আমাদের দেশের যে কোনো খাদ্যসংকট মেটাতে পারে। তারা আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুদেশ। আশা করছি, বাণিজ্য সহজীকরণ করতে তারা পাশে থাকবে।

    বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও অনেকদিন ধরেই ভারত থেকে পেঁয়াজ, চিনি, গম ও চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রফতানি মূল্য ৮শ ৫০ ডলার বৃদ্ধি করায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

    ২০২২ সালের ২০ জুলাই থেকে সিদ্ধ ও আতপ চাল আসাও বন্ধ রয়েছে। একই বছরের ১৩ মে থেকে বন্ধ রয়েছে গম এবং ২৮ ডিসেম্বর থেকে চিনি আমদানি বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি মিলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অভিযোগ দায়ের করার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চিনি আমদানি বন্ধ রয়েছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…