এইমাত্র
  • গা'জায় শরণার্থী শিবিরে ই'রাইলি হামলায় নিহত ১৫
  • কোটি টাকার মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী আটক
  • টেকনাফে অপহরণ চক্রের আরও দুই সন্ত্রাসী আটক
  • মানিকগঞ্জে বৃষ্টির আশায় ইসতিস্কার নামাজ আদায় ও দোয়া
  • চট্টগ্রামে ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের মরদেহ
  • গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে জায়গা করতে চায় ছাত্রলীগ
  • বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ জনের
  • ফটিকছড়িতে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
  • বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মাননা পেলেন রাণীনগরের চন্দনা
  • রাজবাড়ীতে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ২
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    তিন ধরনের ব্যক্তিকে সবার আগে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম

    তিন ধরনের ব্যক্তিকে সবার আগে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম

    মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু। ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাহগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা।

    সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক সময় আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজ করে ফেলে। কিন্তু একজন মুসলিম গুনাহ করে তাওবা করবে- এটিই স্বাভাবিক।

    আল্লামা ইবনে কাইয়্যুম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, যে গুনাহ করে সে মানুষ। যে গুনাহ করে তার ওপর অটল অবস্থানে থাকে সে শয়তান। আর যে গুনাহ থেকে তাওবা করে, সে হলো মুমিন।

    মানুষ যখন আমল করে— তখন তার সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ত বা উদ্দেশ্যের প্রশ্ন চলে আসে। সে কী আল্লাহর জন্য ইবাদত করছে— নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করছে; সেটি ঠিক করার পরেই ইবাদাত কবুল হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায়। মানুষ যদি নিজের আমলকেই বড় মনে করতে থাকে অথবা লোক-দেখানো উদ্দেশ্যে সালাত, জাকাত আদায়, ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও জিহাদ করে, তাহলে সেটি দয়াময় আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন না।

    আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে উল্লিখিত রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার মনে যাররা (যবের দানা পরিমাণ) গর্ব বা অহংকার থাকবে— সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এরপর জনৈক ব্যক্তি বললেন, মানুষ এটাই পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক, এমনকি তার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাহলে তাও কি অহংকার)? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ সুন্দর ও তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। আসলে অহংকার হচ্ছে সত্য ও ন্যায়কে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯১; সুনানে আত-তিরমিজি, হাদিস : ১৯৯৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৯১; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩৭৭৯)

    তিন ব্যক্তি সবার আগে জাহান্নামে যাবে

    সবার আগে তিন ব্যক্তিকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। হাদিসে এসেছে, ওই তিন ব্যক্তির নিয়ত শুদ্ধ ছিল না। অর্থাৎ তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করেনি।

    আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের সবার আগে যাদের বিচারের জন্য আনা হবে— তাদের মধ্যে অন্যতম দানবীর, আলেম ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী শহীদ। আল্লাহ তাআলা প্রথমে শহীদকে নেয়ামতগুলো দেখিয়ে প্রশ্ন করবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন : ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি শহীদ হয়েছো— লোকে যাতে তোমাকে বীর-বাহাদুর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তখন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

    এরপর একজন দানবীরকে উপস্থিত করে করা হবে। তাকে দেওয়া সম্পদ দেখিয়ে আল্লাহ বলবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এ সম্পদগুলো আপনার পথে ব্যয় করেছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি দান করেছো যাতে লোকে তোমাকে দানবীর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

    এবার একজন আলেমকে নিয়ে আসা হবে। আল্লাহ তাআলা আলেমকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তোমাকে আমি যে জ্ঞান দিয়েছিলাম— সেটি তুমি কোন পথে ব্যয় করেছো?’ তখন সে বলবে, ‘আমি আপনাকে খুশি করার জন্য সে জ্ঞান অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি এসব জ্ঞান অন্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছো— যাতে লোকেরা তোমার প্রশংসা করে এবং তোমাকে প্রাধান্য দেয়। সেটি তুমি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। তাই এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ এরপর তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮২)

    আল্লাহ সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…