কক্সবাজারের রামুতে ছুরিকাঘাতে নিহত কৃষকলীগ নেতা নাজেম মওলা সাহেদ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই জনকে ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই আটক করেছে রামু থানা পুলিশ। বুধবার মধ্যরাতে কচ্ছপিয়া এলাকা থেকে তোদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার
২ জন হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমলাপাড়া এলাকার কাদের
মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওসমান।
সংবাদ
সম্মেলনে ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, গ্রেপ্তার ২ জন সহ ৩ জন রামুর
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বধুপাড়া ব্রিজের মাথায় অবস্থান করছিলেন। এসময় জনৈক
ফেরদৌস প্রকাশ ফিরোর সাথে এক ব্যক্তির সাথে ৩ জনের কথা কাটাকাটি হয়। এ
বিষয়টি ফেরদৌস নিহত সাহেদকে কল করে জানান। সাহেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তার
সাথেও কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ৩ জন তাদের সাথে থাকা
ধারালো ছুরি দিয়ে নাজেম মাওলা সাহেদকে এলোপাথাড়ি চুরি দিকে আঘাত করে
গুরুত্বর রক্তাক্ত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর
হাসপাতাল কক্সবাজারে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করে।
ওসি রামু
জানান, এ ঘটনায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে মাধ্যমে আসামীদের মোবাইল ফোনের
লোকেশন ট্রাক করে তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষন করিয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২
জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামী পেঠান সওদাগরের
পুত্র দেলোয়ার পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে
বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে ছুরিকাঘাতে কচ্ছপিয়ার রূপনগর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে সাহেদ নিহত হন।
এফএস