রাত পোহালেই ঈদ। শেষ সময়ে ঈদুল আযহায় জমে উঠেছে কেনাকাটা। ঈদের আগ মুহূর্তে বিশেষ করে তৈরি পোশাকের দোকান, শাড়ি, জুতার দোকান, কসমেটিক্স ও বিউটি পার্লারগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। কাপড়ের টেইলার্সগুলোতে অর্ডার নেওয়া অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেলেও সময়মত পোশাক ডেলিভারি দিতে দিনরাত কাজ করছেন কর্মীরা।
রোববার সরেজমিনে মাগুরা শহরে সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, নুরজাহান কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বেচাকেনা চলছে বেচাকেনা। এখানে শাড়ি, জুতা ছাড়াও গার্মেন্ট্স দোকানগুলোতে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।
সুপার মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, শেষ মুহূর্তে সবাই তৈরি পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছে। মেয়েদের থ্রি-পিছ ও ছেলেদের পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের পোশাকও খুব বিক্রি হচ্ছে। এদিকে টেইলার্সগুলোকে সঠিক সময় পোশাক ডেলিভারি দিতে রাতদিন কাজ করছেন তাদের কর্মীরা।
শহরের সমবায় মার্কেটের বিসমিল্লাহ এমব্রয়ডারির মালিক রনি জানান, আমরা অর্ডার নেওয়া অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শুধু ডেলিভারি দিচ্ছি। সময় মতো ডেলিভারি দিতে আমরা সারারাত কাজ করছি। এদিকে নগরীর বিউটি পার্লারগুলোতে নারীদের উপস্থিতি চোঁখে পড়ার মতো।
হক বস্ত্রালয়ের পরিচালক জমিরুল হক জানান, এবারের ঈদুল আযহায় শেষ মুহূর্তে এসে বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন। দামটাও অনেকটা সাধ্যের মধ্যে পাচ্ছে ক্রেতারা। জুতা ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই এখন কয়েক লাখ টাকার জুতা বিক্রি করছি।
নীলাচল বিউটি পার্লারের কর্নধর মুন্নি জানান, এখন যেকোনো বিউটি পার্লারে কাজ করাতে হলে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। ঈদ যতো এগিয়ে আসবে আমাদের ব্যস্ততা ততোই বাড়বে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, কাপড়ের দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। গরমের তাপমাত্রা বেশি থাকায় মার্কেটে বেশি সময় থাকতে পারছিনা। তবে আবহাওয়া বৃষ্টি না থাকায় ঈদের আগের দিনে তারা কেনাকাটা করতে আসছেন বলেও জানান।
আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মাগুরার জেলা পুলিশ সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, দিনরাত কাজ করছে জেলা পুলিশ। পশুরহাট, মার্কেটগুলো ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল চলছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ সবাইকে নিরাপদে কেনাকাটার নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি কোনও ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে না।
পিএম