সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই আগামী ৭২ ঘণ্টা মাঝারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে পাহাড়ধসের শঙ্কা।
দুর্ঘটনা এড়াতে ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সচেতন করতে রোববার (৩০ জুন) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি শহরে মাইকিং করা হয়। প্রচারণা চালানো হয়েছে শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়। এ সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভারি বর্ষণ শুরু হলে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় অথবা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিব শংকর বসাকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ টিম শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়।
প্রশাসনের তথ্যমতে, রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
এরআগে, বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক জানান, বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে রাঙ্গামাটি শহরের ২৯টিসহ জেলায় মোট ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলমান বৃষ্টিতে যে কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়, ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপথ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবের সকল বিভাগের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এফএস