বাড়তি ওজন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে ডিটক্স ওয়াটার। ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর ঝরঝরে রেখে মনও ফুরফুরে করে এই পাণীয়। সারাদিনে বিভিন্ন কারণে দেহে তৈরি হওয়া টক্সিন উপাদান দূর করার জন্য জনপ্রিয় একটি পানীয় ডিটক্স ওয়াটার। এই ডিটক্স ওয়াটার দেহের পানির ঘাটতি পূরণে সক্ষম। প্রাকৃতিক গুণাগুণ সম্পন্ন হওয়ায় এর বেশকিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
ডিটক্স ওয়াটার কী: তাজা ফল, সবজি, ভেষজ উপাদান কেটে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার পর যে তরল তৈরি হয় সেটি ডিটক্স ওয়াটার। ডিটক্স ওয়াটার বানানোর জন্য ফল বা সবজি রস না করে বরং দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখা হয়। ফলে সবজি ও ফলের গুণাগুণ পানিতে মিশতে শুরু করে। এ ছাড়াও শুধু ভেষজ উপাদান মিশ্রিত পানীয় যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, সেগুলোও এক প্রকার ডিটক্স ওয়াটার। যেমন লেবু পানি, জিরাপানি, মধু পানি, কিশমিশ ভেজানো পানি ইত্যাদি।
ডিটক্স হলদি টি
আধ চা চামচ করে হলুদ ও আদা কুচি, এক চিমটি গোল মরিচ, ১ চা চামচ মধু এবং ২ কাপ জল নিন। ওভেনে জল বসিয়ে আদা ও হলুদ দিন। ফুটে তিন ২-৩ মিনিট। বন্ধ করে মধু ও গোলমরিচগুড়ো ছড়িয়ে কাপে ঢেলে পরিবেশন করুন।
কিউমিন ডিটক্স ওয়াটার
জিরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ ঠিক থাকলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পাবে এতে। ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ জল, আধ চা চামচ মধু নিন। ওভেনে একটা পাত্র নিয়ে শুকনো জিরে আগে দিন। কম আঁচে ৫-৬ সেকেন্ড রেখে এবার জলটা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটতে দিন। আঁচ নিভিয়ে খানিক ঠান্ডা হলে জিরে ছেঁকে জলটা খেয়ে নিন।
ডেলি ক্লেনজিং ডিটক্স ওয়াটার
বরফ ঠান্ডা জল ১-২ লিটার, তরমুজের স্লাইস, শসার স্লাইস, মুসুম্বি বা পাতিলেবু ১টি, পুদিনা পাতা ১০-১৩টি। এই ডিটক্স ওয়াটার আপনার শরীরের দূষিত টক্সিন একেবারে ফ্লাশআউট করে দেবে ও হজমশক্তিকে জোরদার রাখবে। ফলে আপনিও ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকবেন।
কোকোনাট ওয়াটার উইথ লেমন অ্যান্ড মিন্ট
১টি নারকেল, পুদিনা পাতা, ১ চা চামচ মধু, ১ টা পাতিলেবু নিন। প্রথমে নারকেলের ফাটিয়ে জল বের করে রাখুন। এবার ভেতরটা কুড়িয়ে নিন। কুড়নো নারকেল ও তার জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস, পুদিনা পাতা, মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি ভিন্ন স্বাদের ডিটক্স ওয়াটার।
এইচএ