আবারও বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার খড়গও নেমে এসেছে সাকিবের ওপর। এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সাকিব।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা সাকিব আগেই জানিয়েছিলেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আইসিসির এই টুর্নামেন্টটি। এ জন্য ১২ জানুয়ারির মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দল আইসিসিতে পাঠাতে হবে বিসিবিকে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সে দলে সাকিব আল হাসানের না থাকাটা এখন একরকম চূড়ান্ত। কারণ শুধু ব্যাটার হিসেবে সাকিবকে দলে জায়গা দেওয়া একটু কঠিনই।
ক্রিকেটের পাশাপাশি সাকিব রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী ছিলেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর সাকিবের বিরুদ্ধে দেশে হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিবের ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে এ সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তার দেশে আসা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে সেখানে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে নেমে আসে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। পরে চেন্নাইয়ে এক দফা পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেননি। একই জায়গায় আরও একবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। এবার তাতেও ব্যর্থ হলেন।
এর আগে, সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিব এখনও অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।
এফএস