মেছতার কারণে মুখের সৌন্দর্য কমে যায় অনেকটাই। এটি এমনই এক নাছোড়বান্দা সমস্যা যে সহজে দূর হতে চায় না। অনেক সময় বয়স বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
মেছতা দূর করতে অনেকে লেজার ট্রিটমেন্ট করায়। লেজার শুধু করালেই হয় না, এরপর প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। এদিকে বেশিরভাগই লেজার ট্রিটমেন্টের পরে সঠিকভাবে যত্ন নেন না। যে কারণে ত্বক আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। তাই মেছতা দূর করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়।
তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মেছতা কেন হয়? এবং এটি দূর করার ঘরোয়া ইপায় সম্পর্কে-
*** নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বা ইনফার্টিলিটির চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেলে মেচেতার ঝুঁকি বাড়ে।
*** শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রায় হেরফের হলে মুখে মেচেতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর কিংবা গর্ভাবস্থাতেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
*** যারা দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে রোদে কাজ করেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে, তারাও এই সমস্যায় পড়েন। মুখে মেছতা পড়ার অন্যতম কারণ হলো অতিবেগনি রশ্মি। সূর্যের আলোর মধ্যে থাকা ইউভি-এ এবং ইউভি-বি ত্বকে মেলানিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে মুখে মেচেতার দাগ পড়তে পারে।
*** মুখের কালো দাগছোপ তুলতে বহু নারীরাই ব্যবহার করেন স্টেরয়েডজাত ক্রিম। কিন্তু দীর্ঘদিন এ সব ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি আটকানো মুশকিল।
কীভাবে মেচেতার দাগ তুলবেন?
*** চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমেলামাইজিং ক্রিম। এ ছাড়া লেজার ট্রিটমেন্ট করেও এই দাগ তোলা যেতে পারে। এই ট্রিটমেন্ট বেশ খরচসাপেক্ষ।
*** এ ছাড়া রূপটানের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেও দাগ হালকা হতে পারে। তিন-চার চামচ টক দইয়ে একচামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন ১৫-২০ মিনিটের জন্য। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের বদলে অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার করতে পারেন।
*** লেবুর রসে চিনি মিশিয়ে মেছতার দাগের ওপর হালকা হাতে ঘষতে হবে, যতক্ষণ না চিনির দানাগুলি গলে যায়।
*** অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলো দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
এইচএ