এইমাত্র
  • নাটোরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলায় খালাস বিএনপি নেতা দুলু
  • অবশেষে গাজা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা
  • টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
  • ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড
  • ভোলায় জ্বিনের বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি, দুই ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
  • সবাইকে খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা
  • সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক
  • অবশেষে গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল
  • আজ বুধবার, ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সন্ধ্যা হলেই গাবখান সেতুুতে অন্ধকার, ঝুঁকিতে চালকরা

    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম

    সন্ধ্যা হলেই গাবখান সেতুুতে অন্ধকার, ঝুঁকিতে চালকরা

    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম

    বাংলার সুয়েজ খালখ্যাত গাবখান নদীর ওপর নির্মিত হয় পঞ্চম চীন মৈত্রী সেতু। সেতুর ওপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ৬২টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। বর্তমানেসেই ৬২টি লাইট পোস্টের ৪৩টি অকেজো রয়েছে এবং সচল রয়েছে ১৯টি। তারমধ্যেও কয়েকটি নিভু নিভু জ্বলে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

    ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬ দশমিক ২০ মিটার (যা দেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার। ২৪টি পিলার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১ দশমিক ২৫ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।

    স্থানীয়রা জানান, সেতু উদ্বোধনের ২২ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই সেতুর ওপর নেমে আসে অন্ধকার। এ কারণে প্রায় সময়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

    ট্রাক চালক সাদ্দাম জানান, আমাদের গাড়ির হেডলাইটের মাধ্যমে অন্যান্য সড়কের মতো পথ দেখে চলতে হয়। সড়কের বাতি না থাকায় বাঁকে বাঁকে চলার সময় ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।

    অটোচালক জাফর জানান, গাবখান ব্রিজের ওপরের বাতিগুলো নষ্ট যাওয়ায় অন্ধকার থাকে বেশিরভাগ জায়গায়। ব্রিজ পারাপারের সময় সামনে থেকে পরিবহন বা ট্রাক এলে তখন কিছু চোখে দেখা যায় না। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

    মোটরসাইকেল চালক মিজান জানান, ব্রিজে উঠলেই দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলে না। সামনে থেকে বড় কোনো গাড়ি এলে তখন আর চোখে কিছু দেখা যায় না। মাথায় হেলমেট থাকলে সবকিছু তখন ধোয়া দেখা যায়। পাশে মোটরসাইকেল রেখে অনেকেই বাতাস উপভোগ করেন। সড়ক বাতি না থাকলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন চালক হলে তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নেই। অনেকদিন ধরে এমন অবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পড়লে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

    এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান জানান, সেতুর বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…