এইমাত্র
  • নাটোরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলায় খালাস বিএনপি নেতা দুলু
  • অবশেষে গাজা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা
  • টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
  • ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড
  • ভোলায় জ্বিনের বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি, দুই ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
  • সবাইকে খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা
  • সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক
  • অবশেষে গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল
  • আজ বুধবার, ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    জাতীয়

    সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত শতাধিক শ্রমিক

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম

    সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত শতাধিক শ্রমিক

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম

    সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে এক সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।

    সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে নিহত-আহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’

    সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের তথ্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে মজুরি আন্দোলনে ৪ জন শ্রমিক নিহত হন। তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে মারা হয়েছে। ১২ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। কিন্তু শ্রমিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি।

    ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিককে গুলি করা হয়েছে, তাঁকে পুলিশ নাকি অন্য কেউ গুলি করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আনু মুহাম্মদ বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিক মারা গেছেন, তিনি কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

    এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু আপনি বলছেন আগুনে পুড়ে মারা গেছে; কোনটা সঠিক—এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে যে শ্রমিক মারা গেছেন, তাঁর শরীরে ছররা গুলি পাওয়া গেছে।’

    সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশাসন প্রশ্ন তুলেছে। সুতরাং প্রশাসনও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিজিএমইএ থেকে কোনো তথ্য আমরা পাইনি। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের দমন-পীড়নে কাজ করেছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

    সংবাদ সম্মেলনে শিল্প পুলিশ বিলুপ্ত করাসহ ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শ্রমিক হত্যার যথাযথ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, অবিলম্বে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে কোনো পুলিশ যদি কাউকে খুন কিংবা জখম করে তাহলে ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও তার দায়বদ্ধ করা, শিল্প পুলিশ যেন মালিকপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে না পারে সে জন্য এই বাহিনী বিলুপ্ত করা, মজুরি নির্ধারণ ও নির্দিষ্ট মেয়াদে তার পুনর্বিন্যাস করার গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, মজুরি বকেয়া রাখা, জালিয়াতি, প্রতারণা বন্ধ করা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু প্রমুখ।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…