এইমাত্র
  • ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ৩৮
  • কলেজ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণায় উত্তাল ক্যাম্পাস
  • পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
  • যুক্তরাজ্য থেকে ‘পালালেন’ ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশের মামলার আসামী একঝাঁক তারকা
  • বেনজীরকে ঢাকা বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
  • আপনি আমার যা দেখছেন সবটাই স্বাভাবিক: উর্বশী রাউতেলা
  • হার্ট অ্যাটাক হয়ে মাঠেই মারা গেলেন আম্পায়ার
  • বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
  • আজ শুক্রবার, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

    জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

    বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা।

    বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে রাতে উপাচার্যের উপস্থিতিতে তাকে হেফাজতে নেয় আশুলিয়া থানা পুলিশ। ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন একটি সেলুনে আসেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে পুনরায় গণধোলাই দেয়।

    শিক্ষার্থীরা জানায়, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক৷ শামীম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। এছাড়া তার বিরদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

    জিজ্ঞাসাবাদে শামীম মোল্লা জানায়, ১৫ জুলাই রাতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে হামলা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারেক ও মিজান (ব্যাচ ও বিভাগ জানায়নি) নামে সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা তাকে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেলের নেতৃত্ব পেট্রল বোমা তৈরি করা হচ্ছিল এবং হামলার জন্য দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছিল। প্রস্তুতি শেষে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করতে যাওয়া হয়। হামলার সময় তারেক এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে জানায়।

    এ ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা শাখায় আসে। এসময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় শামীম মোল্লা হামলার ঘটনায় নিজের অংশগ্রহণ ও ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের সাথে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক মেহেদী ইকবাল উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে।

    এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় প্রক্টর অফিসে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়। আমরা আশুলিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি টিম আসে। তার নামে পূর্বেও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…