এইমাত্র
  • মোদি-বাইডেনের বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
  • শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট বামপন্থী অনূঢ়া
  • সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার
  • ২১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৩ কোটি ডলার
  • হিলিতে কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণ
  • বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
  • কক্সবাজারে ব্যাগভর্তি ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক
  • রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
  • পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
  • বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান
  • আজ রবিবার, ৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় ১৪ কোটি টাকার সেতুতে

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

    সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় ১৪ কোটি টাকার সেতুতে

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

    ১৪ কোটি টাকায় সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে ৭ বছর আগে। তবে যা করলে স্থানীয়রা এটি ব্যবহার করতে পারতেন, সেটিই করা হয়নি। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না। তাই নিজেদের ভোগান্তি দূর করতে সিঁড়ি বানিয়ে সেতুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণের।

    এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এতো টাকার সেতু বানিয়ে যদি সিঁড়ি বেয়েই উঠতে হয়, তাহলে সেতু বানানোর কি দরকার ছিল। এলাকাবাসীর কাজে না আসলে এমন সেতু বানানোর প্রয়োজন ছিল না। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বলছে, জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হলে সংযোগ সড়ক তৈরি হবে।

    জানা যায়, একসময় সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা, কাঞ্চনা, আমিলাইষ, এওচিয়া ও পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকদের দৈনন্দিন কাজ, কৃষির ফসলাদি কেনা—বেচার জন্য ডলু নদী পার হওয়ার একমাত্র রাস্তা ছিল নির্মিত সেতুটির স্থান। নৌকা ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। শুষ্ক মৌসুমে নৌকায় পারাপারে তেমন ঝুঁকি না থাকলেও বর্ষায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত লোকজন। নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজলি—কাশেম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ২০১৭ সালের শেষদিকে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের পর জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংযোগ সড়কের জন্য বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও সফল হয়নি। এভাবেই পার হয়েছে সাত বছর। সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাজে আসছে না এটি। ফলে ভোগান্তি রয়েই যায় এই পথে চলাচলকারীদের। তাই বাধ্য হয়েই সিঁড়ি বানিয়ে সেতুটি কোনোরকমভাবে ব্যবহার করছেন তারা।

    স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ব্রিজ তো একটা বানাইয়া রাখছে, কিন্তু আমাদের কোনো কাজে লাগছে না। আমরা আগে নদী পার হতাম নৌকায়, এখন ব্রিজ হয়েছে কিন্তু তা আবার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়।’

    দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, জায়গা সংক্রান্ত জটিলতায় এতোদিন সংযোগ সড়ক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে পারব।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…