এইমাত্র
  • অভ্যুত্থানে আহত-শহিদদের তালিকা প্রকাশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে: সারজিস
  • নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • অতি শিগগির জাতীয় দলে ফিরছেন সাকিব!
  • মোংলায় ফিশিং ট্রলারসহ ভারতীয় ১৬ জেলে আটক
  • দায়িত্ব নিলেন নতুন আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার
  • জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর
  • উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
  • ভাঙ্গুড়ার প্রবীণ সাংবাদিক আবু জাফর মঈন সিদ্দিকী আর নেই
  • সারা দেশে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে আইনি নোটিশ
  • মোংলায় আগুনে পুড়ল দিনমজুরের স্বপ্ন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪
    করপোরেট সংবাদ

    ৮০০ কোটি টাকা পাচারের খবর অসত্য এবং কাল্পনিক: ইডরা

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

    ৮০০ কোটি টাকা পাচারের খবর অসত্য এবং কাল্পনিক: ইডরা

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

    সম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে পুরোটাই পাচার' শীর্ষক শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য, অনুমাননির্ভর ও কাল্পনিক অভিহিত করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা)।

    গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) এস. এম. আনিসুজ্জামানের স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। এতে যাচাই-বাছাই না করে বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রতিবেদন তৈরি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

    বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে প্রতিবাদলিপিতে ইডরা বলছে, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২৮ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক ব্যয় ৫২৫.৪১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারের কোষাগারে ভ্যাট, আয়কর, কাস্টম ডিউটি ​​ট্যাক্স বাবদ প্রায় ৮২ কোটি টাকা জমা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজস্ব ব্যয় ১০৪.২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারের কোষাগারে জমাকৃত এবং রাজস্ব ব্যয় বাবদ মোট ১৮৬.২৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়কৃত হতে অবশিষ্ট ৩৩৯.১৮ কোটি টাকা প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজের সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা হয়েছে।

    এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতি অর্থবছরে অভিট সম্পাদন করে অডিট প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংকে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে সময়ে সময়ে বিশেষ অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করে যার মধ্যে প্রকল্পের কোন কাজের অনিয়ম বা কোন দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়নি। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন মাসিক ও ত্রৈমাসিক বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়-অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়ে থাকে।

    কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান এবং বাংলানিউজ২৪.কম পত্রিকার গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকল্প হতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানানো যাচ্ছে যে যেখানে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫২৫.৪১ কোটি টাকা সেখান থেকে কীভাবে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিন্ডিকেট করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। যা অসত্য এবং কাল্পনিক।

    এসময় স্মার্ট টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের বিরুদ্ধে কাজ না করেই পুরো টাকা তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা)।

    প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পের প্যাকেজ নং: G2-2 এর আওতায় আইটি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের নিমিত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড- এর সাথে প্রকল্পের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড সকল কার্যক্রম সম্পাদন করেছে। যা প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক পৃথক পৃথক Goods Receiving Committee দ্বারা গ্রহণপূর্বক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়া হয়েছে এবং প্যাকেজ নং: G-33 এর চুক্তি অনুযায়ী তস্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড শতভাগ পণ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে।

    কিন্তু প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ার কারণে মালামাল ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। মালামাল ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন পরবর্তীতে পৃথক পৃথক Goods Receiving Committee দ্বারা মালামাল বুঝে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্তোষজনকমর্মে গৃহীত হলে সে প্রেক্ষিতে চুক্তি অনুযায়ী বিল পরিশোধ করা হবে।

    এছাড়া বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে প্রকল্পের প্যাকেজ নং: G3-2 এর আওতায় Setting up Research center and Server room এর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে Goods Receiving Committee দ্বারা গ্রহণপূর্বক বুঝে নেয়া হয়েছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…