দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডুয়েটের শিক্ষকদের থেকে নতুন ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়ে ডুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নজরুল ইসলাম ও যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাব্বির হুসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ৪৪ বছরের পুরনো বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে বিআইটি, ঢাকা এবং ২০০৩ সাল থেকে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়রূপে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গত ১১ আগস্ট, ২০২৪ ইং তারিখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করার লক্ষ্যে ডিন কাউন্সিল আলোচনাক্রমে মেকানিকাল অনুষদের ডিন মহোদয়কে সাময়িকভাবে জরুরী একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে। তখন থেকে অদ্যবধি তাঁর নেতৃত্বে ডুয়েটে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রদানসহ অন্যান্য জরুরী একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কিন্তু উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক কাউন্সিল পরিচালনা, সিন্ডিকেট সভা আহবান, গবেষণা প্রকল্প অনুমোদন, শিক্ষকদের শিক্ষাছুটি প্রদান, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতিসহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ আছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষকবৃন্দ উপাচার্য না থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষকবৃন্দ দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ প্রদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর দেশের অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমী হওয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করা হলে তিনি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ন্যায় অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেন না। তারা ইতোপূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন অন্যকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি-প্রথা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মনোস্তত্ত্ব বুঝতে পারেন না বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করতে পারেন না, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও উন্নতি করতে ব্যর্থ হন।
সম্মানিত শিক্ষকগণ উল্লেখ করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। অর্থাৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয় যে এখানে উপাচার্য হওয়ার মত যোগ্য অধ্যাপকের ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিকভাবে দক্ষ ও যোগ্য অনেক অধ্যাপক রয়েছেন, তাদের ভেতর থেকেই একজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার জন্য সকল সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
এইচএ