সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আর এবার দেশসেরা অলরাউন্ডারের পথেই হাঁটতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
টি-টোয়েন্টিতেই ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিতে পারেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজই হতে পারে তার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দিল্লির দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে আজকের সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়ার গুঞ্জন রয়েছে এই সাইলেন্ট কিলারের।
যদিও গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিই মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারি, রিয়াদ ভাইয়ের এই সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো নির্বাচকদের সঙ্গে কথাও বলবেন। আমি খুব একটা পরিষ্কার না। অবশ্যই নির্বাচক ও বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ হবে।’
ভারত সিরিজে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত মাহমুদউল্লাহর নেয়া ছিল আরও আগেই। এ ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তের কথা চূড়ান্তভাবে বিসিবির শীর্ষ পর্যায়কে জানালে তারাও স্বাগত জানিয়েছে সিদ্ধান্তকে।
তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে মাহমুদউল্লাহর পক্ষে থাকছে না পরিসংখ্যান। সর্বশেষ ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আর তাই পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ার পরও শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে দলে না নিয়ে ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে কেন নেওয়া হয়েছে এই প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে শামীমের তুলনা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘ভাই কার সঙ্গে কার তুলনা করছেন? রিয়াদ ভাই এত বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিচ্ছেন, ভালো করেছেন, অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। হ্যাঁ, অনেক ম্যাচ হয়তো শেষ করে আসতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক ম্যাচ জেতার পেছনে উনার অনেক অবদান আছে। শামীম তরুণ, খুবই ভালো করছে। কিন্তু এই জায়গায় এখনই তুলনায় যেতে চাই না।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। সেই থেকে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রিয়াদ। ১১৭ দশমিক ৭৪ স্ট্রাইক রেটে প্রায় ২৩ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৩৯৫। বল হাতে রয়েছে ৪০ উইকেট।
২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৬ ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। এরমধ্যে একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন রিয়াদ।
এবি