এইমাত্র
  • খুলনায় পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
  • ভারতে অনলাইন ইংরেজি মাধ্যম মাদরাসা চালু
  • এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, পরিপত্র জারি
  • যুবলীগ-ছাত্রলীগ ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক: রিজভী
  • থেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠক, শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
  • রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ৩ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন
  • দেশের বাজারে আবারো কমলো সোনার দাম
  • দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  • প্রথমবার ইসরাইলের সামরিক সদর দপ্তরে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ
  • ট্রাম্পের বিজয়ে ক্ষেপছে মার্কিন নারীরা, পুরুষদের সঙ্গে যৌনতায় ‘না’
  • আজ শুক্রবার, ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ দম্পতিকে নতুন ঘর দিলো গ্রামবাসী

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

    জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ দম্পতিকে নতুন ঘর দিলো গ্রামবাসী

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

    বৃষ্টি হলেই পানি আর শীতের মধ্যে কুয়াশার ঠান্ডা পানি ঘরের টিনের চালার ফাঁক দিয়ে পড়তো শরিলে। আবার তীব্র রৌদ্রময় আবহাওয়ার মধ্যে সূর্যের খরতাপ পড়তো গায়ে ৷ এমনি জরাজীর্ণ নির্জন ঘরে বসবাস করতো দুই অসহায় ধার্মিক বৃদ্ধ দম্পতি। আকাশে মেঘের শব্দ হলে তারা মনে করতো, আজ বৃষ্টির পানি শরিলে পড়বে৷ বৃষ্টি-কুয়াশা পানির মতো তাদের অসহায়ত্বের অশ্রু ভেজা চোখ প্রায় সময় টলমল করতো৷ নীরবে নিভৃতেই সীমাহীন কষ্ট নিয়ে বসবাস করতেন তারা৷

    কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের বৃদ্ধ ফজলুর রহমান এমনি কষ্টে বসবাস করে আসছিলেন৷

    তিন ছেলের মধ্যে দুইজন প্রতিবন্ধী। পিতা ও ছোট ছেলে মিলে শ্রমজীবীর কাজ করে টেনেটুনে পরিবারের খরচ যোগান দেয়৷ কিন্তু তাদের যা উপার্জন তা দিয়ে তিনবার খাবারের যোগাড় করাই ছিলো কঠিন৷ ঘর মেরামত বা তৈরি ছিলো তাদের পক্ষে দুঃস্বপ্ন।

    দীর্ঘদিন পর তাদের দুঃখ কষ্টের অবসান হয়েছে। গ্রামের মাদ্রাসার আলেম ও মসুয়া ইউনিয়ন ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মো. ইসমাইল এলাকাবাসী থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি নতুন ঘর তৈরি করতে উদ্যোগী হন৷ স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের সহায়তায় এক মাসের চেষ্টায় ঘরটি তৈরি করে দেওয়া হয়৷ দোয়া দুরুদের মাধ্যমে নতুন ঘরে ওঠেন বৃদ্ধ দম্পতি।

    বৃদ্ধ ফজলুর রহমান বলেন, সবসময়ই আমরা কষ্টের মধ্যে থাকতাম৷ বর্ষায় বৃষ্টির পানি আর শীতের মধ্যে কুয়াশার পানিতে ভিজতে হতো৷ দুঃখের সময়গুলো মনে হলে চোখে পানি চলে আইয়া পরে। এখন একটু শান্তিতে চিন্তামুক্ত ঘুমাতে পারবো৷

    মসূয়া ইউনিয়ন ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মো. ইসমাইল বলেন, এমন জরাজীর্ণ ঘরে মানুষ বসবাস করাই অসম্ভব৷ বাতাসে যে কোন সময় ঘরের চালা পড়ে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিলো। দুজন বৃদ্ধা পরহেজগার নামাজি মানুষ৷ নামাজ পড়ার মতো দাঁড়ানোর জায়গাটুকু নাই৷ আমি উদ্যোগ নিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছি তাদের৷

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…