পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার চকরিয়া পৌরশহরের যানজট যেনো নিত্য দিনের সঙ্গী। যানজটমুক্ত করতে পৌর প্রশাসন কিছুদিন পরপর হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সকালে উচ্ছেদ হলে বিকালে ফের দখল হয়ে যায় হকার । রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়ে যত্রতত্র টমটম-সিএনজি, ছারপোকা ও বাস স্টেশনের কারণে তীব্র যানজট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের কাজে ধীরগতি এবং যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে তীব্র যানজট। শহরবাসী জানান, যানজট নিরসনে পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। চকরিয়া শহরে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো সিএনজিচালিত অটোরিকশা, তিন চাকার অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। অবৈধ সিএনজি-টমটম স্টেশন,গাড়ি পার্কিং, লোড-আনলোডের গাড়ি, আর ফুটপাত দখলের কারণে ৩ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগে যায় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। ৫ আগস্টের পর পুলিশের কাজে ধীর গতির কারণে এই যানজট আরও তীব্র হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের গা ছাড়া ভাব রয়েছে বলে শহরবাসী অভিযোগ করেছেন।
চকরিয়া পৌরসচিব মাসউদ মোর্শেদ বলেন, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উত্তরমুখী গাড়ি মাতামুহুরি ব্রিজের পাশে,দক্ষিনমুখী গাড়ি থানা রাস্তা মাথায় অবস্থান করার কথা থাকলেও চালকরা তা মানছে না। আমি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা যানজট নিরসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।চকরিয়া পৌরশহরের যানজট নিরসনের জন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছি যাতে সড়কে কোন বিশৃঙ্খলা না হয়।
এইচএ