মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ ফাহিমা বেগম (২৪) আত্নহত্যা করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদী গ্রামে স্বামী মো. রুবেল মাদবরের বসত ঘরের পূর্ব পাশের কক্ষে নিজের ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত গৃহবধূ ফাহিমা বেগম উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদী গ্রামের মো. রুবেল মাদবরের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ফরিদ শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীরা জানায়, শনিবার ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে যে কোনো সময় স্বামীর বসত ঘরের পূর্ব পাশের কক্ষে নিজের ওড়না দ্বারা ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ফাহিমা বেগমের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
নিহত গৃহবধূ ফাহিমা বেগমের মা ফরিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ের মাথায় সমস্যা আছে তাই আত্মহত্যা করতে পারে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করছে সে বিষয়ে আমরা জানিনা। ফাহিমার বেগমের স্বামী ব্রুনাই প্রবাসী।
সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্য থানায় আত্মহত্যার খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনানুক ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন।
এআই