টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী রোট পিঠা। অনেকেরই কাছে এই পিঠা নতুন মনে হতে পারে। যারা টাঙ্গাইলের বাসিন্দা, তারাই শুধু চিনতে পারবেন এই পিঠা। একটু ঝাল ঝাল হওয়ায় খেতেও বেশ মজার। বছরের যেকোনো সময় এই পিঠা বানানো গেলেও, কোরবানির ঈদে বেশি তৈরি হয়। কারণ পিঠা বানানোর অন্যতম একটি উপকরণ মাংস। মাটির চুলায় এই পিঠা ভালো হয়।
যা যা লাগবে
চালের গুঁড়া, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুড়ো, গরম মসলার গুড়ো, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বাটা এবং কয়েক টুকরা রান্না করা গরুর মাংস।
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে চালের গুড়ি পরিমাণ মতো নিয়ে হালকা করে চুলাতে ভাজতে হবে। একটা বড় পাত্র চালের গুড়ির সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। তারপর রান্না করা গরুর মাংসের টুকরোগুলো ঝোলসহ দিয়ে দিন। এবার কিছুটা গরম পানি দিয়ে ভালো করে নরম করে মাখাতে হবে। তারপর একটা বড় কড়াইয়ে তেল মাখিয়ে খামিটা দিয়ে হাত দিয়ে সমান করতে হবে। কলার পাতা দিয়ে কড়াই এর উপরে ঢাকনা দিতে হবে। এরপর কলার পাতার উপরে চুলোর গরম ছাই দিতে হবে। আপনি চাইলে কয়লা দিয়েও করতে পারেন।
এই গরম ছাই বা কয়লার তাপে পিঠার উপরের অংশ হয়ে যাবে। এবার কড়াইটা মাটির চুলোর উপরে বসাতে হবে। চুলোর ছাইয়ের তাপে পিঠা হয়ে যাবে পুরোপুরি। এই পিঠা হতে চার পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সে সময় পর্যন্ত কড়াই চুলোর উপরেই রাখতে হয়। কারণ চুলোর ছাইয়ের তাপ কয়েক ঘণ্টা থাকে। যখন কড়াই থেকে ঘ্রাণ বের হবে, তখন বুঝতে হবে রোট পিঠা একেবারে রেডি
চুলা থেকে নামিয়ে কড়াইটি একটা কাগজের উপর সরাসরি উপুর করে ঢেলে দিতে হবে। যাতে পিঠাতে ছাই না লাগে। এরপর হালকা ঠাণ্ডা হলে কেটে পরিবেশন করতে হবে। গরম গরম খেতে অনেক মজা এই পিঠা। এছাড়া ফ্রিজ এ রেখে এক সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যায়। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে হালকা তেলে ভেজে খেতে হয়।