পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়া পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। আহতরা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, হেলাল উদ্দিন (২১), ইব্রাহিম হোসেন (৪২), হাসেম মণ্ডল (৪০) ও ফিরোজ হোসেন (৪৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৪ নভেম্বর রাতে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে খাইরুন্নাহার মিরু কে আহবায়ক ও মো. সালাহউদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে একই কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শামসুর রহমান ও তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন।
এই আহবায়ক কমিটির প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার করমজা ইউনিয়নে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ঝড়ু মিছিল করে শামসুর রহমান ও তাদের সমর্থকরা। আর এতে ক্ষুব্ধ হয় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তাদের সমর্থরা।
শনিবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলা ও পৌর সদর এলাকায় আবারও একই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন শামসুর রহমান। তাদের কর্মসূচী শুরুর আগেই বিকেল চারটার দিকে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে আহবায়ক ও সদস্য সচিব পক্ষের লোকজন। মিছিল নিয়ে যাবার সময় যুগ্ম আহবায়ক শামসুর রহমানের লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে তারা আবার একজোট হয়ে আহবায়কের লোকজনকে ধাওয়া করে।
দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কমিটি গঠনের পর আমরা আজ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করি। বিকেলে আমরা আনিন্দ মিছিল নিয়ে পৌর সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে বোয়ালমাবারী বাজারে গিয়ে শেষ হয়। অনেকে চলেও যায়। কিছু লোক বাজারে বসে চা পান করছিল। ওই সময় শামসুর রহমানের লোকজন এসে অতর্কিত হামলা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।’
এ বিষয়ে যুগ্ম আহবায়ক শামসুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাঁথিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পুলিশের কথা শোনেননি। পরে তারা পুলিশের নিষেধ না মেনে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।’
এমআর