হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু হয়ে আজও অসংখ্য পাঠক হেঁটে চলেছে ময়ূরাক্ষী নদীর তীর ধরে। দেখছেন উপচেপড়া জোছনা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি আর মধ্যরাতের অচেনা শহরটাকে। সঙ্গে হয়তো রূপা, নয়তো না। যে নদী ও চরিত্রের স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ। যাকে বাংলা সাহিত্য ও নির্মাণের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। গুণী এই মানুষটির ছোট ছেলে নিষাদ হুমায়ূন।
নিষাদ হুমায়ূনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিষন্নতা খুব ভয়ংকর একটা জিনিস তবে প্রকৃতিতে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায়।
নিষাদ হুমায়ূন বলেন, আমরা তখন সত্যিকারের খুশি হতে পারব যে সময় টাকা, ফোন এসব না চেয়ে প্রকৃতির মাঝে একটু শান্তিতে থাকার চেষ্টা করবো। ফোনের জন্য কোনো শান্তি নেই।
প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নুহাশ পল্লীতে আসলে আমি অনেক কিছু ভুলে যায়। শহরের মধ্যে অসুবিধাটা হচ্ছে ইন্টারনেট না থাকলে ঘরে বসে কী করব।
তার ভাষ্য, এ সুন্দর একটা জায়গার মধ্যে শুধু এই আবহাওয়া এই রোদটা এই বাতাসটা অন্যরকম লাগে। এখানে আসার আগে ডেটা কিনেছি ভাবলাম ইন্টারনেট না থাকলে কী করব, এখানে আসার পরে ফোন হাতে নেইনি, প্রকৃতির মাঝে রয়েছি। আমরা মানুষ হিসেবে এত জিনিস চাই কেন। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় যদি নতুন আইফোনটা থাকতো যদি এয়ারপডস প্রোসহ নতুন গাড়ি থাকতো। কিন্তু এখানে এসে সব ভুলে যায়, মনে করি যে শুধু এ জায়গায় বসে একটা আরাম পাওয়া যায়।
এদিকে নিজের বাবা হুমায়ুন আহমেদকে পাগল উল্লেখ করে নিষাদ বলেন, পাগল ছাড়া কী পৃথিবী চলবে? পাগল ছাড়া কিন্তু পৃথিবী চলবে না। স্যার আইজাক নিউটন কত বড় পাগল! তার পাগলামি ছাড়া কী পদার্থবিজ্ঞান হতো? আমি শুয়ে আছি, আমার মাথার ওপর যদি একটা আপেল পড়ে আমি ভাবব, ওহ আপেল পড়ছে! কিন্তু স্যার আইজাক নিউটন কিন্তু নিজে নিজেই ভেবেছে কেন আপেলটা পড়ল? এরপর পুরো জীবন কাজ করেছে কেন আপেলটা নিচে পড়ল, এইটার ব্যাপারে। এরপর সে পদার্থবিজ্ঞান আবিষ্কার করল। আসলে পাগলটা আমাদের লাগে। আমার বাবা অবশ্যই পাগল তাই তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। পাগল আমাদের লাগবে। পাগল ছাড়া আইডিয়া পাব না।
নিষাদের সেই ভিডিও শেয়ার দিয়ে অভিনেতা খাইরুল বাসার লিখেছেন, এই পাগলটা যে কত মিষ্টি কত সুন্দর! এই বয়সে তার বোধ ভাবনার কী দারুণ চর্চা নিজের মাঝে! অনেক সুন্দর থাকুন সুন্দর পাগল।