হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের খোয়াই বেইলি ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেলের (৫৮) গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। এ সময় রানা মোহাম্মদ সোহেল ফাঁকাগুলি ছোড়েন। এতে ওই এলাকায় অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত ব্যক্তির নাম জিএম শাহিন। তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত জিএম শাহিন সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের উষাইনগর এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে।রোববার দুপুরে চুনারুঘাটের খোয়াই ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা যায়, দুপুরে সাবেক এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেলের বহনকারী গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে চলে আসলে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় রানা মোহাম্মদ সোহেল গাড়িটি পেছানোর চেষ্টা করলে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় হয় রানা মোহাম্মদ সোহেলের। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির আওয়াজে বেইলি ব্রিজে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্রিজে যানজট ও আশপাশ এলাকার মানুষ জড়ো হন। গোলাগুলি ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয়রা রানা মোহাম্মদ সোহেলকে ঘেড়াও করে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পাশাপাশি রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় আনা হয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়।হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান, সেনাবাহিনীর লোক হওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন। অপরদিকে, তার অস্ত্র চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তিনি কি কারণে গুলি ছুঁড়েছেন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।
খবর পেয়ে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন সামিউনের নেতৃত্বে একদল সেনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ক্যাপটেন সামিউন বলেন, রানা মোহাম্মদ সোহেল সেনাবাহিনী থেকে অবসর গেছেন। অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত কিনা যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তীতে আমরা বিস্তারিত জানাবো।
এমআর