দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে এখন তেমন একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব দেখা যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করার গুঞ্জন এখনো রয়েছে তাকে নিয়ে। এর মধ্যে আলোচনায় এলো তার বিয়ের খবর।
গত ১২ নভেম্বর রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর চাউর হয় চারপাশে। যা পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমেও আসে। বিভিন্ন সূত্রে তার বিয়ের খবর সামনে আসলেও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ ছিল আফ্রিদির। অবশেষে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন আলোচিত এই ইউটিউবার।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন আফ্রিদি। তবে কবে, কখন বিয়ে সেরেছেন, তা নিয়ে কিছু জানাননি। আফ্রিদি জানালেন, পারিবারিক আয়োজনেই তার কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।
আফ্রিদির কথায়, ‘আমি গাড়িতেই বসে শুনলাম, গোপনে বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি। আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে।’
আফ্রিদি বলেন, ‘ভেবেছিলাম বাসায় যাব। এরপর সবাইকে বিয়ে খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর পেলাম কই, অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তায়ালাই লিখে রাখেন।’
কনে দেখতে গিয়ে কাবিন হয়ে গেছে জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই।’
তৌহিদের স্ত্রীর নাম রামিসা আল রিসা, তার যমজ বোন রাইসা আল রোজা। শুরুতে খবর ছড়ায়, টিকটকার রাইসাকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’