২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার সৌদি আরবের। একমাত্র দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ আয়োজনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রকাশ করেছে কিং সালমান স্টেডিয়াম নিয়ে তাদের মহা পরিকল্পনা।খবর জিও নিউজ
মূলত সৌদির ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ভিশন ২০৩০ এর আওতায় হবে এ স্টেডিয়াম। ৯২ হাজার আসনের এই ভেন্যু হবে সৌদির সর্বোচ্চ দর্শক ধারণক্ষমতার। আর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ।
সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইয়াসের আল মিশেহাল বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য সৌদির আরবের অগ্রগতির সাক্ষী হওয়ার আমন্ত্রণ ২০৩৪ বিশ্বকাপ। এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি জানতে পারবেন। ফ্যানদের দারুণ এক অভিজ্ঞতা দিতে সর্বাত্মক ব্যবস্থাই করা হবে।
প্রকৃতি আর প্রযুক্তির দারুণ মিশেলে এর ডিজাইন করেছে বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান পপুলাস। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণও হয়েছে তাদের হাত ধরে। দূষণ ও ব্যয় কমাতে থাকবে প্রাকৃতিক শীতাতপ ও বিদ্যুত সাশ্রয়ী প্রযুক্তি।
কি থাকবে না এই ফুটবল স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে? ইনডোর স্পোর্টস হল, অলিম্পিক সাইজের পুল, বাগান, অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, ফ্যান জোন, অ্যাকুয়াটিক সেন্টার আর স্টেডিয়ামের ছাদে হাঁটার ব্যবস্থা। যেখান থেকে সংযুক্ত কিং আব্দুল আজিজ পার্কের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
মূলত সারা বছর এটি ব্যবহৃত হবে সৌদি আরবের ফুটবল দলের ক্যাম্প হিসেবে। নিরবিচ্ছন্ন অনুশীলনের জন্য থাকবে একাধিক ট্রেনিং গ্রাউন্ড। পরবর্তীতে যুক্ত করা হবে ভলিবল, বাস্কেটবল ও প্যাডেল কোটও।
কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই স্টেডিয়াম পুরোপুরি চাল হবে ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ। ঘরোয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক টুর্নামেন্টের ভেন্যু হবে এটি। আর ২০৩৪ বিশ্বকাপ দিয়ে পাবে পূর্ণতা।
এবি