কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি শরিফুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক এই প্রক্টরকে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে তিন দিন মঞ্জুর করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে পিবিআই পুলিশ শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর আগে এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল, সেই সময় ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হাজারো মানুষ। গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
এমআর