এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪
    আন্তর্জাতিক

    সৌদিতে কাবার আদলে তৈরি মঞ্চে নাচ-গান, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

    সৌদিতে কাবার আদলে তৈরি মঞ্চে নাচ-গান, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

    সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

    ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও।

    সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

    তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’।

    সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।

    সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।

    সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।

    গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

    বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।

    নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।

    সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

    তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ।

    পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।

    সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।

    আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’

    উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।

    তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’

    অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।

    তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে।

    তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে।

    জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে।

    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?

    তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে।

    সূত্র: বিবিসি উর্দু

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…