গাঢ় নীল রঙের অপরাজিতা ফুল দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। কেবল দেখতেই সুন্দর সেটা নয়, এর পুষ্টিগুণও অফুরন্ত। ‘নীল চা’ বা ‘ব্লু টি’ নামে পরিচিত অপরাজিতা ফুলের চা একেবারেই ক্যাফেইনমুক্ত হারবাল চা।
এটি যেমন মনকে চনমনে রাখবে, তেমনি সুস্থ রাখবে শরীর। পুষ্টিবিদ শাহনীলা তৈয়ব জানিয়েছেন নীল অপরাজিতা ফুলের চা পানের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. হজমে সাহায্য করে
অপরাজিতা ফুলের চায়ে মল নিঃসরক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে।
২.রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
অপরাজিতা ফুলের চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৩.শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করে
অপরাজিতা ফুলের চায়ে অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথোসায়ানিডিনস এবং কোয়ার্সেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের র্যাডিক্যালগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং কোষগুলিকে মানসিক চাপ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৪.শরীরে জ্বালা ভাব দূর করে
নিয়মিত অপরাজিতা বা প্রজাপতি-মটর ফুলের চা পান করলে শরীরের জ্বালা ভাব দূর হয়। এই চা শরীরের অতিরিক্ত উত্তেজনা কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৫.ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
অপরাজিতা ফুলের চা ক্ষুধা দমন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৬. অ্যাজমা প্রতিরোধ
এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চা বানানোর নিয়ম
প্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে দুটো এলাচ, দুই টুকরো আদা, এক টুকরো দারুচিনি ও পাঁচটি অপরাজিতা ফুল দিয়ে দিন পানিতে। ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে তারপর দেবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটান।
এরপর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন। লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার আগে। লেবুর রস মেশালে এই চা রঙ বদলে বেগুনি হয়ে যাবে।
এমআর