জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে গুলির ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) এক নিরাপত্তা সূত্র ও রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেত্রা জানিয়েছে, আম্মানের রাবিয়া এলাকায় পুলিশ টহলদলের ওপর গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। পরে পুলিশ ওই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করে। বন্দুকধারীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ৩ পুলিশ আহত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জর্ডানের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে যে ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে গুলির শব্দ শোনার পর পুলিশ ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে। দূতাবাসটি যেখানে অবস্থিত সেই রাবিয়া এলাকায় পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যেতে দেখা গেছে।
এই এলাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘনঘন বিক্ষোভের একটি কেন্দ্রবিন্দু। গাজা যুদ্ধের কারণে জর্ডানে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব তীব্র হওয়ায়, এ অঞ্চলে বড় ধরনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ঘটনাও ঘটেছে।
এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ নিরাপত্তা বাহিনী অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ নাগরিকের মধ্যে অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, যাদের পরিবার ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টি উপলক্ষে সংঘটিত যুদ্ধে জর্ডানে পালিয়ে আসে বা বিতাড়িত হয়। তাদের অনেকেরই জর্ডান নদীর অপর পাড়ে ইসরায়েলে বসবাসকারী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
জর্ডানের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তি অনেক নাগরিকের কাছে অজনপ্রিয়। তারা মনে করেন, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ফিলিস্তিনি সহমর্মীদের অধিকারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
এবি