ঝালকাঠি থেকে বরিশালসহ ১২ রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল চারটা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া নামক স্থানে ঝালকাঠি বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনের যৌথ উদ্দোগে স্থাপন করা চেকপোষ্টে স্থানীয়দের চাদা দাবীর অভিযোগ তুলে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। একই সাথে মহাসড়কে ব্যাটারীচালিত রিক্সা, ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ সকল থ্রী হুইলার বন্ধ না করা হলে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাস মালিক সমিতির আহবায়ক মো. বাচ্চু হাওলাদার।
শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক রনি জানালেন চেকপোষ্টে চাদা দাবী যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। অন্যথায় অনিদৃষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. টিপু সুলতান বলেন, প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা চাদা দাবি করেছে চেকপোষ্ট এলাকার কিছু অসাধু লোকজন টাকা না দিলে তারা চালক, সুপারভাইজারের উপর চড়াও হয়। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা বাস বন্ধ করে দিয়েছি। মালিকরাও আমাদের সাথে একাত্বতা ষোষনা করেছে। ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের অফিস ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওমর ফারুক বলেন, 'বাস মালিক ও শ্রমিকদের চেকপোষ্ট বসানোর যদি অনুমোদন থাকে তাহলে বসাবে। সেটা প্রশাসনের উর্ধোত্বন কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে ব্যাটারীচালিত রিক্সা ইজিবাইক চলাচল যাতে না করে সেদিকে আমরা সবসময় সোচ্চার রয়েছি। যেটা চলে সেটা বিচ্ছিন্নভাবে সংক্ষিপ্ত দুরত্বে চলে।
অন্যদিকে হটাৎকরে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় বিপাকে পড়েছে ঝালকাঠি থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। যাত্রীরা বলছেন, বাস বন্ধরেখে প্রতিবাদ এটা কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। যে কোনো সিদ্ধান্ত হবে আলোচনার মাধ্যমে। যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে নয়।
এমআর