হবিগঞ্জ জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। ঘটনাগুলো মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেলের।
হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২ যুবক। আর মাধবপুরে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন।
এছাড়া সদর উপজেলায় দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জেলায় একদিনে সড়কে ৪ জনের প্রাণহানীর খবরে শোকবইছে এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মারা যাওয়া যুবকরা হলেন, আব্দুল মজিদের ২২ বছরের ছেলে কাউছার মিয়া ও মজিবুর রহমানের ২০ বছরে আব্দুল কাদির।প্রতক্ষদর্শীরা জানান, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল চালিয়ে হবিগঞ্জ আসছিলেন। পুকড়া শাপলা ফিলিং স্টেশনের সামনে আসামাত্রই হবিগঞ্জ থেকে নবীগঞ্জগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে সড়কের পাশে ছিটকে পরে মাথা থেতলে যায় কাদিরের। আহত অবস্থায় কাউছারকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় সড়কেই মৃত্যু হয়।
রাত ৮টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে কথা হয় কাউছারের বন্ধু সাইফুলের সঙ্গে। তিনি জানান, বিকেলে সাইফুল, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল দিয়ে ইমামবাড়ি বাজার থেকে হবিগঞ্জ আসার জন্য রওয়ানা হন। সন্দলপুর আসার পর সাইফুলের বাবার ফোন দেয়ায় তিনি সেখান থেকে ইমামবাড়ি ফিরে জান।
তিনি বলেন, আমি ফিরে আসার আধা ঘন্টার পরই শুনি তারা দুইজন এক্সিডেন্ট করেছেন।কাউছার বাবা আব্দুল মজিদ জানান, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। মেয়ে সবার বড় আর কাউছার দ্বিতীয় ও ছোট ছেলে তানিম। তিনি কৃষি কাজ করেন। কাউছার অটোরিকশা চালাতেন। ছোট ছেলে কৃষি কাজে সহযোগীতা করে।
তানিম বলেন, আম্মা বারবার না করেছেন হবিগঞ্জ না আসতে। শেষে কান্না করে বলেছিলেন। আম্মাকে বলেছিল যাবে আর আসবে। ইমামবাড়ি বাজার থেকে আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকাও নিয়ে এসেছিল শীতের কাপর কিনতে। কিন্তু হবিগঞ্জ আসার আগেই আমার ভাই শেষ।
এদিকে, সকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ সৈঈদ উদ্দিন কলেজের সামনে ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন সিএনজি চালক সজল দাশ প্রাণ হারান। আর সড়ক দূর্ঘটনায় আগে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিম মিয়া।
এমআর