জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হল থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) আনুমানিক ভোর ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৭০০৫ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন তার সহপাঠীরা।
ওই শিক্ষার্থীর নাম তাকিয়া তাসনিম বিভা (১৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০২৩-২৪ সেশন) শিক্ষার্থী এবং বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। তাকিয়া মাগুরা সদর উপজেলার পারান্দুয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনর মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী তার ব্লকের শিক্ষার্থী শিউলি আক্তার বলেন, ভোর ৪টা ৪৬ মিনিটে একটি নম্বর থেকে আমার নম্বর এ কল আসে। অপর পাশ থেকে একটা ছেলে বলে তুমি কি তাকিয়ার পাশের রুমের? আমি বলি আমার থেকে একটু দূরে ওর রুম। সে বলে দ্রুত তাকিয়ার রুমে যান ও সুইসাইড করতে পারে। পরে আমি দৌঁড়ে তাকিয়ার রুমে গিয়ে ধাক্কা ধাক্কি করি। এরপর আরও কয়েকজন লোক জড়ো হয়। পরে দরজা ভেঙে দেখি সে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এটা দেখে সেখানেই কয়েকজন পড়ে যায়। পরে কয়েকজন ধরে তাকে বিছানায় নামানো হয়।
নিহত তাকিয়ার স্থানীয় অভিভাবক মামা মনির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ফোনে হল থেকে একটা ফোন আসে। এরপর আমাকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি যে তাকে ওড়না কেটে খাটের ওপর নামানো হয়েছে। এর আগে আমি তাকিয়ার বাবাকে ফোন করে ঘটনা জানাই। তার বাবা-মা মাগুরা থেকে রওনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষী ও তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এবং হল প্রাধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তার ময়নাতদন্ত করা হবে। তারা অনুমতি না দিলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত শিক্ষার্থী তাকিয়া রুমে একাই থাকতেন এবং হলে নিয়মিত থাকতেন না। তার রুমের বাকি সদস্যরা হলে থাকতেন না। তার সহপাঠীরা ধারণা করছেন বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ নিহতের রুম থেকে ডায়েরি, ল্যাপটপ এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
এআই