যশোরের চৌগাছার প্রভাবশালী পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে নিরীহদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই জমির মাটিও তারা বিক্রি করছেন। জবরদখলের প্রতিবাদ করে মারপিটের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এ ঘটনায় চৌগাছা থানা ও উপজেলার ভূমি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও আইনী সহায়তা পাননি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তানিছুর রহমান লাড্ডু ও তারর বিরুদ্ধে জমি দখল ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা জমি দখল ও হামলার ঘটনায় উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
উপজেলার পৌর এলাকার মৃধা পাড়ার হারুন অর রশিদ বলেন, মায়ের ওয়ারিশ হিসেবে আমাদের তিন ভাই বোনের ( দুই ভাই ও এক বোন ) চৌগাছা পৌর সদরের ব্রিজের মুখে ১ শতক ৬৫ পয়েন্ট জমি রয়েছে। ওই জমির ওপর কু নজর পড়ে চৌগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তানিছুর রহমান লাড্ডু তার ছেলে শফিউর রহমান রাথিকের।
তারা দীর্ঘদিন ধরে জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। জমি দখল করে প্রাচীর নির্মানেরদেখে বাঁধা দিতে গিয়েছিলাম, তখন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা শফিউর রহমান রাথিক আমাকে মারধর করেন। আমি চৌগাছার এসি ল্যান্ডের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছিলাম। এসিল্যান্ড তাদেরকে ডেকে প্রাচীর তুলতে নিষেধ করে দিয়েছিল, কিন্তু কোন কিছু তোয়াক্কা না করে আবারও আমার জমিতে কাজ করছে। আমরা গরিব মানুষ, ওই জমিটুকুই আমার সম্বল। সেটুকুও দখল নেয়ার চেষ্টা করছে।
আরেক ভুক্তভোগী বকুল হোসেন বলেন, আমার জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রভাবশালী ছেলে রাথিক আমার জমি থেকে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি রাথিক ও তার বাবা মোস্তানিছুর রহমানকে মাটিকাটা বন্ধ জন্য অনেকবার বলেছি। কিন্তু তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। মাটি কাটতে বাঁধা দেওয়ার রাথিক আমাকে মারধর শুরু করেছেন। পরে আমি চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় থানা থেকে আমি কোন বিচার পাইনি।
এই বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তানিছুর রহমান লাড্ডুর বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চৌগাছা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
এমআর