নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গভীর রাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর স্ত্রী নিজেই অ্যাম্বুলেন্স এবং থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম।
এর আগে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সোহাগ রাড়িকে (৩০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। একই সঙ্গে স্ত্রী মোসা. হালিমাকে (২৬) আটক করে পুলিশ।
আহত সোহাগ রাড়ি বরিশালের বিমানবন্দর থানার চাঁদপাশা গ্রামের দুলাল রাড়ির ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডাব ব্যবসায়ী। আটক হালিমা বরিশালের হিজলা থানার পূর্ব কান্দি গ্রামের মৃত সোনাবালি বেপারীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সোহাগ ৪ বছর আগে প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় হালিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর হালিমাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতো সে। কিন্তু বিষয়টি মানতে পারতো না দ্বিতীয় স্ত্রী হালিমা। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এতে রাগে ক্ষোভে স্ত্রী হালিমা গভীর রাতে স্বামী সোহাগকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে থাকা বটি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।
ভুক্তভোগী সোহাগ রাড়ির ছোট ভাই আরিয়ান আহমেদ সোহান জানান, আমার ভাইকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। অসুস্থ সোহাগকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্ত্রী হালিমাকে আটক করা হয়েছে। সোহাগের পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।