নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী মুক্তাকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রানাকে (৩২) আটক করে পুলিশ।
রবিবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত রানাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে সৈয়দপুর উপজেলা শহরের পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তা (২৪) ওই উপজেলার কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের ১৬ দিন আগে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে মুক্তাকে বিয়ে করেন রানা। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো চললেও এক সময় আগের বিয়ের তথ্য জানতে পারেন মুক্তা। তখন থেকেই নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মাঝে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। শনিবার গভীর রাতে রানা মাদকসেবন করে ঘরে ফিরলে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী মুক্তাকে।
এরপর পরই মুক্তাকে হত্যার বিষয়টি তার বোন লাভলীকে জানায় এংব মুক্তার বাপের বাড়িতে বিষয়টি জানাতে বলেন। রানার বোন লাভলী বিষয়টি জানার পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাতা রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। রানা তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। যেহেতু রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, সেহেতু পরিকল্পিতভাবে তারা আমার মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাইছি।’
সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে রানাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মামলা হলেই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এআই