কক্সবাজারের টেকনাফ বিজিবি,র্যাব সদস্যরা পৃথক ভাবে দুটি অভিযান পরিচালনা করে ৩ লাখ, ২৫ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশী-বিদেশী নগদ মুদ্রা উদ্ধার করেছে। অভিযানের সময়ে পাচারে জড়িত দুজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে তারা।
এর মধ্যে বিজিবি সদস্যরা বস্তাভর্তী ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করে। অপর অভিযানে র্যাব-১৫ সদস্যরা ৯৫ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ টাকা ও মিয়ানমার মুদ্রা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
রবিবার (০৫ জানুয়ারি) কক্সবাজার র্যাব-১৫'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান তাদের বাহিনীর অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে, সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর রাতের দিকে টেকনাফ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার একটি বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৫ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৫ লাখ ৫ হাজার মিয়ানমার মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মাদক কারবারে জড়িত এক মাদক পাচারকারীকেও আটক করতে সক্ষম হয়।
ধৃত মাদক পাচারকারী হচ্ছে- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র নজরুল ইসলাম।
ধৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অপরদিকে রবিবার গভীর রাতের দিকে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান (পিএসসি) সময়ের কন্ঠস্বরকে প্রেস বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা টেকনাফের নাফনদী সীমান্তবর্তী এলাকা সংলগ্ন জেলেপাড়া এলাকায় বিজিবি সৈনিকরা মাদক বিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান চলাকালীন সময়ে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তাভর্তি ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় উদ্ধারকৃত মাদকের চালানের সাথে জড়িত আব্দুর শুক্কুর নামে এক মাদক কারবারিকেও আটক করতে সক্ষম হয়। সে মিয়ানমার মংডু নাফফোরা এলাকার বাসিন্দা মৃত সালেহ আহমদের পুত্র।
আটক মাদক পাচারকারির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার জন্য উক্ত আসামিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
এআই