কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের মো. ইছহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালীপাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮) ও ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহন।
কিশোরীর পরিবার জানায়, গত রবিবার ওই কিশোরী বদরখালী স্টেশন থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মহেশখালী যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি বদরখালী সেতুর ওপর গেলে গাড়ি নষ্ট হওয়ার বাহানা দিয়ে চালক তাকে নামিয়ে দেয়। সেতু পার হওয়ার সময় দুজন তার পথ রোধ করে। পরে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ধারালো ছুরি দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে সেতুর পাশে বেড়িবাঁধের প্যারাবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
কিশোরীর পরিবার আরও জানায়, সে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে। আতঙ্ক ও ভয়ে এখনো কাঁপছে সে।
এদিকে এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের বদরখালী সেতু এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এতে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
ওসি আরও বলেন, ‘কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এআই