মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে তিনি কার্যালয়ে না আসায় ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল সরকার। তার অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম। এবার তাঁকেও যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি করায় ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না তিনি।
তার অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়নের জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে পরিষদে এসে নাগরিকত্ব, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, প্রত্যয়নপত্র,ওয়ারিশসনদ, মৃত্যুসনদসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে মানুষজন ফিরে যাচ্ছে।
সরেজমিনে সোমবার ১২ঘটিকায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়,ডিজিটাল উদ্যোক্তার রুমের সামনে নারী পুরুষের ঝটলা।জানা যায় গত বেশ ক'দিন যাবৎ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অফিসে আসছেন না,চেয়ারম্যানের কার্যালয় তালাবদ্ধ।
এ সময় কথা হয়, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট নিতে আসা হাসিনা আর রাহেলা নামে দুই নারীর সাথে, হাসিনা(৪০) জানান, আব্দুল্লাহপুর থেকে দুই দিন যাবৎ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট এর জন্য পরিষদে আসছেন কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় সাইন হচ্ছে না,সার্টিফিকেটও পাচ্ছেন না।
এক'ই অভিযোগ বড় রায়পাড়া গ্রামের যুবক আলীফ আহমেদ এর তিনি জানান,ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে,যেখানে জন্ম সনদ প্রয়োজন,অন লাইন কপিতে চেয়ারম্যান এর সাইনের জন্য ঘুরতেছি কিন্তু তিনি অফিস আসছেন না।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো:সাইফুল ইসলাম জানান,এটা একটি মিথ্যা মামলা গত বছরে ২৩ জুলাই উমরাহ পালনের জন্য স্বপরিবারে সৌদি আরব যাই এবং ৮ আগস্ট দেশে ফিরে আসি, শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্য আমাকে এই মামলায় জড়িয়েছে একটি মহল।
বিষয়টি সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফিরোজ আহমেদ বলেন,গত বুধবার থেকেই অফিস টাইমে চেয়ারম্যানের জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু এর মধ্যে তিনি আসেন নাই।উনি কি অসুস্থ নাকি মামলা হওয়ায় কার্যালয়ে আসছেন না এ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি।
এজাহার সূত্রে জানা যায় ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় মো. সানি হোসেন বাদি হয়ে মামলা রুজু করে।মামলাটিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ৫৩ নম্বরের আসামি।
এমআর