কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়ে নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে প্রথম ও একই স্থানে আসরের নামাজের পর তৌহিদুলের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দলের পক্ষ থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে যুবদল নেতার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, 'অনতিবিলম্বে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মরহুম তৌহিদুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।'
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও ইটাল্লা গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলামকে তার বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। তারপর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোরশেদ মোবাইল ফোনে তৌহিদের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপুকে জানান, শহরতলীর গোমতী নদীর পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থানে আহত অবস্থায় তৌহিদ পড়ে রয়েছেন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তখন যুবদল নেতা তৌহিদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদের লাশ দেখতে পান।শনিবার বিকালে পাঁচথুবীর ইটাল্লা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে যুবদল নেতা তৌহিদের দাফন সম্পন্ন হয়।
এমআর