এইমাত্র
  • সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
  • দিল্লিতে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হবে মেসির ফুসফুুসে!
  • গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  • নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ
  • বিএনপির প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • পিএসএলের কারণে পিছোতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • ৩০ বছর পর রোগীর পেট থেকে বের হলো লাইটার
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সরকারি পাঠ্যবই পাচারের চেষ্টা, প্রধান শিক্ষক পলাতক

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

    সরকারি পাঠ্যবই পাচারের চেষ্টা, প্রধান শিক্ষক পলাতক

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নতুন বছরের (২০২৫) সরকারি পাঠ্যবই পাচারের সময় একটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন। এ সময় ট্রাকসহ তিনজনকে আটক করা হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান পলাতক রয়েছেন, যিনি বই পাচারের মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে পাচারের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহাম্মেদ। অভিযানে দেখা যায়, বিদ্যালয় থেকে একটি ট্রাকে করে নতুন পাঠ্যবই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই বই ও ট্রাকটি জব্দ করা হয় এবং তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বই অবৈধভাবে বিক্রি করছিলেন। প্রতি কেজি বই ২০ টাকায় বিক্রির কথা জানিয়ে দেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার ট্রাকযোগে বইগুলো মির্জাপুরে নেওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা ইউএনও-কে খবর দেন। পরে প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযানে অংশ নেয়।

    ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহাম্মেদ বলেন, “নতুন বছরের পাঠ্যবইসহ একটি ট্রাক জব্দ করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।”

    বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহাবুর রহমান বলেন, “বই বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি কেউ জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রাক ও বই থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাত আটটা পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, বই পাচারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…