এইমাত্র
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধার পর খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার
  • হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
  • কাজিপুরে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
  • খড়ের আড়ালে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টা, আগুন দিল জনতা
  • ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • ‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ঈদুল আযহাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তরার কামাররা

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

    ঈদুল আযহাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তরার কামাররা

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

    রাজধানীর উত্তরায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে টুংটাং শব্দ। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিঠাপিঠিতে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর উত্তরার কামার শালাগুলো। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বঁটি, চাপাতি ও ছুরি। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।

    ঈদুল আজহা কিংবা কোরবানির ঈদে গরু, ছাগল উট, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। এসব পশু কাটাকাটির কাজে ব্যবহার করা হয় দা-বঁটি, ছুরি-চাপাতি ইত্যাদি। এই দিনটিকে অপেক্ষা করে দিন-রাত দা তৈরিতে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

    এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে ছুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, দা ছোট ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বটি বড় ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, চাপাতি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি হয়।

    উত্তরার বিভিন্ন স্থানে দূর থেকে শোনা যাচ্ছে টুংটাং শব্দ। দোকানে ভিতরে উত্তপ্ত আগুনের পাশে বসে বানানো হচ্ছে চাপাতি। পাশে অপর একজন। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়ার পর বের করে হাতুড়ি পেটাচ্ছেন অপর একজন। তবে যে-সব দোকানে চার থেকে পাঁচজন করে শ্রমিক কাজ করত এখন সেসব দোকানে কাজ করছে দুইজন। তৈরি হওয়া যন্ত্রপাতি দোকানে সামনে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে দা, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন কামারিদের দোকানে। আবার কেউ কেউ দর দাম করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

    বছরের বেশিরভাগ সময় শুধু চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি পুরোনো অস্ত্র শান দিয়েই হয় তাদের যা উপার্জন। এই কাজটি করে চলে তাদের পরিবারের সংসার।

    কামার জব্বার বলেন, বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি কাজের চাপ থাকে। বছরের এই ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন উপার্জন করার এই সময়ের ঘিরেই করা হয়। তাছাড়া কাঁচামালের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সেই অনুযায়ী মজুরি পাওয়া যায় না।

    তারা আরও বলেন, কোরবানি ঈদের সময় আমরা কাজ করে কিছুটা টাকা পাই অন্যান্য সময় তো কোন ইনকামই হয় না।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…