ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তান ইরানের সঙ্গে সব সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে সীমান্তের উভয় পাশে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে বলে সোমবার (১৬ জুন) জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাদির বখ্শ পিরকানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, চাগাই, ওয়াশুক, পাঞ্জগুর, কেচ এবং গওয়াদার—এই পাঁচটি জেলার সব সীমান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
চাগাই জেলার সীমান্ত কর্মকর্তা আতাউল মুনিম বলেন, ইরানে প্রবেশ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা স্থগিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বাণিজ্য কার্যক্রমে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকি যেসব পাকিস্তানি নাগরিক ইরানে অবস্থান করছেন, তারা দেশে ফিরতে পারবেন। আজ প্রায় ২০০ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইরানের ভূখণ্ডে একযোগে বিমান-ড্রোন-মিসাইল হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, তেল শোধনাগারসহ বহু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। হতাহত হয় বহু মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে অন্তত ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসাথে আহত হয়েছে আরও ৯শ’ জনের মতো।
অপরদিকে, ইসরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়নের জবাবে গত দু’দিন ধরেই দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় মুহুর্মুহু মিসাইল ও ড্রোন ছুঁড়েছে তেহরান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে এখন পর্যন্ত তেলআবিবে ইরানের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। সেইসাথে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। এরমধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে প্রাণহানি আরও বাড়ার শঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
এমআর-২