বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত নিয়ে কোনো প্রকার ‘কম্প্রোমাইজ’ করা হয় না বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের ফিউনারেল প্যারেডে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, প্রশ্ন উঠেছে—পুরনো বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কি না। আসলে বিষয়টি হলো একটি বিমানের লাইফটাইম থাকে ৩০ বছরের মতো। এই সময়ে আমরা যাদের থেকে বিমান ক্রয় করি তাদের মাধ্যমে পুরোপুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সত্যি কথা হলো বিমানটি পুরনো নয়, প্রযুক্তি পুরনো। আমরা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতে কোনো কম্প্রোমাইজ করি না।
তিনি আরও বলেন, বিমান বিকলের পেছনে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হওয়া জেটটি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান। যেটি তৈরি করে চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)। অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য চীনে এটি জে-৭ নামে পরিচিত। তবে রপ্তানির সময় এর নামকরণ হয় এফ-৭।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বহরে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ও দ্রুতগামী জেট ছিল জে-৭। আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট এয়ারফোর্স টেকনোলজি ডটকম এর তথ্য অনুযায়ী, জে-৭ এর নকশার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কালে তৈরি যুদ্ধবিমান এমআইজে-২১ থেকে।
এসকে/আরআই