ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধে তেহরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ইরানি কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ইসরায়েলের নিশ্চিত করা ওই হামলায় ৭৯ জন নিহত হয়েছে। কারাগারের প্রাশাসনিক ভবনের একাংশ এতে ধ্বংস হয়। রাজধানী তেহরানের উত্তরে অবস্থিত এ উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে রাজনৈতিক বন্দি ও বিদেশি নাগরিকরা আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরায়েলি হামলাটিকে ‘ইচ্ছাকৃত ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি জানায়, ‘এ হামলার ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত।’
যাচাই করা ভিডিও ফুটেজ, স্যাটেলাইট চিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি জানায়, ‘এভিন কারাগারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একাধিক বিমান হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। কারাগার কমপ্লেক্সজুড়ে ছয়টিরও বেশি স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তাদের মতে, এভিন কারাগারকে বৈধ সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনার মতো কোনো প্রমাণ মেলেনি।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে ইসরায়েল ১৩ জুন ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক হামলা চালায়। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে এভিন কারাগারে ২৩ জুন এ হামলা চালানো হয়। এ হামলার শিকারদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মী, রক্ষী, বন্দি ও দেখতে আসা আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি আশপাশের বাসিন্দারাও ছিল।
হামলার সময় কারাগারে দেড় থেকে দুই হাজার বন্দি ছিল। তাদের মধ্যে তিন বছর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হওয়া সেসিল কোহলার ও জ্যাক পারি নামের দুই ফরাসি নাগরিকও ছিলেন। তবে তারা আহত হননি ও বর্তমানে তাদের অন্য স্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
এমআর-২