দেশি মদ (বাংলা মদ) খেয়ে মুচি বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছোট খাল পাড় হওয়ার সময় পানিতে ডুবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সূর্যেরগাঁও গ্রামের চিত্ত রঞ্জন দাস টুনু (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (০৯ আগস্ট) ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে উপজেলা সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের মধ্যে (থানা সংলগ্ন ও বৌলাই নদী সংলগ্ন) ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দিয়ে নৌকা চলাচলের জন্য তৈরি করা খালে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিখোঁজ টুনু উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সূর্যেরগাঁও গ্রামের সুনিল দাসের ছেলে। খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাহিরপুর বাজার নৌকা ঘাটের বরাবর ওপাড়ে রতনশ্রী গ্রামে একটি দেশীয় তৈরি বাংলা মদ তৈরি করে বিক্রি করে মুচি বাড়ি আছে। সেখানে নিখোঁজ টুনুসহ আরেকজন মদ খেতে যায় এবং খেয়ে ফিরে আসার পথে রতনশ্রী গ্রামে (থানা ও বৌলাই নদী সংলগ্ন) ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দিয়ে নৌকা চলাচলের জন্য তৈরি করা খালে পড়ে চিৎকার দেয়। এ সময় সাথে থাকা আরেকজন ও খালের পাড় সংলগ্ন বাড়ির লোকজন তার চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে তাকে আর পায়নি।
এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে নিখোঁজ টুনুর স্বজনরা ও পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন। নিখোঁজের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করলেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রাত হওয়া, আবহাওয়া খারাপ থাকা ও ডুবুরি না থাকায় সকালে খোঁজাখুঁজি করবে বলে তারা চলে যান।
তাহিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, দেখেছি তবে রাত হয়ে গেছে। বড় কথা, আমাদের স্টেশনে ডুবুরি নেই। সকালে ডুবুরি আসলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করবো।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসেম বলেন, ডুবুরি না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সকালে খোঁজাখুঁজি করবে, তবে স্থানীয় ও নিখোঁজের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করছে।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে শুনেছি, পুলিশ ঘটনা পরিদর্শন করেছে। তবে নিখোঁজের স্বজনরা খোঁজ করলেও এখনও জীবিত বা মৃত লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
এসআর