দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো: রিয়াজ খান মিল্টনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির প্যাডে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ওসমান গনি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ওসমান গনির সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো: রিয়াজ খান মিল্টনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। দলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
রবিবার বিকেলে জরুরি এক সভায় স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ওসমান গনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো: রিয়াজ খান মিল্টনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, বিষয়টি সত্য।
তিনি প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অভিযুক্ত যে সব নেতারা রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের তদন্ত চলমান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন খান মিল্টনকে ৬ আগস্ট নগরীর কাউনিয়া বাগান বাড়ি মিল্টনের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তখন লিটনের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। লিটন হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন বোন মুন্নি সিকদার। আর সেই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মিল্টনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এআই