আগামী বছরের এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে বসবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের দ্বাদশ আসর। স্বাগতিক হিসেবে আগেই জায়গা পেয়েছে থাইল্যান্ড। তাদের সঙ্গে থাকবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা আরও ১১ দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছে প্রথমবারের মতো, যা নারী ফুটবলের জন্য নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী অর্জন।
গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে ম্যাচ হারলেও আগের দুই ম্যাচ জেতার সুবাদে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
লাওসে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ছিল ‘এইচ’ গ্রুপে, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস ও পূর্ব তিমুর। দুই জয় ও এক হারে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েও অপেক্ষায় ছিল আফঈদা-সাগরিকারা। তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হতো অন্য গ্রুপগুলোর ফলাফলের ওপর।
নিয়ম অনুযায়ী, সবগুলো গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন রানার্সআপ আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবে। শেষ পর্যন্ত রোববার (১০ আগস্ট) সব ম্যাচ শেষে নিশ্চিত হয়—তিন সেরা রানার্সআপের মধ্যে দ্বিতীয় হয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশ অংশ নিতে যাচ্ছে মূলপর্বে। বাকি ১১ দলের মধ্যে ১০টিই আগের আসরগুলোতে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি সম্পূর্ণ নতুন এক অধ্যায়, এবং দেশের নারী ফুটবলের জন্য এক ঐতিহাসিক সাফল্য।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো:
বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, জর্ডান এবং চাইনিজ তাইপে।
আরডি