এইমাত্র
  • আরও দুই নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি
  • পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ
  • আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, না ছাড়লে হবে জেল
  • চীনের কাছে ভারতীয়দের নিশানা না করার আশ্বাস চায় ভারত
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
  • নাগরিকদের চীন ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি ভারতের
  • বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং
  • ফেইসবুক পোস্টে কমেন্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫
  • জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জার ট্রফি বাংলাদেশের
  • আজ মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আমার ছেলের শেষ স্মৃতিটুকুও গিলে খেলো বাঘার নদী ভাঙন

    মোস্তাফিজুর রহমান, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
    মোস্তাফিজুর রহমান, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২১ পিএম

    আমার ছেলের শেষ স্মৃতিটুকুও গিলে খেলো বাঘার নদী ভাঙন

    মোস্তাফিজুর রহমান, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২১ পিএম

    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দিয়ারকাদিরপুর চরে পদ্মা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমি ও বসতভিটা ছাড়াও পদ্মার গহ্বরে বিলীন হচ্ছে বহু কবরস্থান, যা এলাকাবাসীর জন্য এক মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়।

    সাত বছর আগে মৃত শেখ রজব আলী মুন্সীর স্ত্রী করিমুন্নেছা ও ছেলে আবদুল খালেককে যেখানেই দাফন করা হয়েছিল, আজ সেখানে নদীর ঢেউ। অনুরূপভাবে, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন শিকদার, লক্ষী পাগলি সহ বহু মানুষ তাদের বাবা-মা কিংবা সন্তানদের কবর পদ্মায় হারিয়েছেন।

    ১০ বছর আগে বিষাক্ত পাউরুটি খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন ছেলে সুমন। তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন মা জহুরা আর বলছিলেন, 'আমার ছেলের এটাই স্মৃতি আর এই পদ্মা নদী আজ সে স্মৃতিটুকু খেয়ে নিলো।' অর্থাৎ সেই কবরটিও আজ নদীর গর্ভে বিলীন।

    চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম বরেলন জানান, শুধু কবর নয়, অনেক পরিবার নদীভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।

    চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, 'বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছে কিছু মানুষ। আমাদের বিদ্যালয়টি পদ্মা গ্রাস করে নিয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টি বিগত বছরগুলোতেও ভাঙনের কারণে এ পর্যন্ত তিনবার স্থানান্তর করা হয়েছে।'

    বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার জানিয়েছেন, ভাঙনের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

    এখন সময় এসেছে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার, যাতে শুধু অবকাঠামো নয়, মানুষের স্মৃতি ও আত্মিক বন্ধনও রক্ষা পায়।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…